শিক্ষার খবরস্কলারশিপ

মাধ্যমিক পাস হলেই পাবে ১২,০০০ টাকা !তবে পরীক্ষায় কত নম্বর থাকলে পাবে এই টাকা ?

রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য সব দিকেই সুবিধা ছড়িয়ে রেখেছে রাজ্য সরকার। চালু করা হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ।

রাজ্য সরকারের অনুপ্রেরণায় শুরু হলো এক নতুন স্কলারশিপ যার মাধ্যমে রাজ্যের হাজার হাজার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ স্তর পর্যন্ত পড়াশুনা করতে পারবে । আর্থিক অভাবে রাজ্যের প্রচুর পরিমানে পড়ুয়ারা শিশু শ্রমিকে পরিণত হচ্ছে। তাই মাধ্যামিক পাশের পর উচ্চ মাধ্যামিক পড়াবে রাজ্য সরকার। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বিজ্ঞান বিভাগে গ্রাজুয়েট হতে চান! কিংবা আর্টসেই কোনও সেরা বিষয় নিয়ে এগিয়ে যেতে চান! কমার্স কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো পেশাগত কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করলেও অসুবিধা হবে না।

রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য সব দিকেই সুবিধা ছড়িয়ে রেখেছে রাজ্য সরকার। চালু করা হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপে আবেদন করে 12,000 থেকে 18,000 টাকা পর্যন্তও পেতে পারেন পড়ুয়ারা। পারিবারিক যায় বার্ষিক 2.5 লক্ষ টাকার কম হলেই। হবে। এছাড়াও সমস্ত শর্ত ও আবেদনের নিয়ম সবটাই জেনে নিন আগেভাগে।

কে কত টাকা পাবেন?

  • 1) আর্টস বিভাগের কলেজ পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিকে 60% নম্বর পেলে পাবেন বার্ষিক 12,000 টাকা।
  • 2) বিজ্ঞান বিভাগের কলেজ পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিকে 60% নম্বর পেলে পাবেন বার্ষিক 18,000 টাকা।
  • 3) কমার্স বিভাগের কলেজ পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিকে 60% নম্বর পেলে পাবেন বার্ষিক 12,000 টাকা।
  • 4) কোনও পেশাগত কোর্সের কলেজ পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিকে 60% নম্বর পেলে পাবেন বার্ষিক 18,000 টাকা।
  • 5) আর মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চ মাধ্যমিক লেভেলে পড়াশোনা করলেও 12,000 টাকা দেওয়া হবে। তবে 60% নম্বর পাওয়া জরুরি।

প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র

  • আবাসিক শংসাপত্র (প্রযোজ্য হলে)
  • মার্কশিট
  • পূর্বের যোগ্যতার প্রবেশপত্র
  • আয়ের প্রমাণ
  • ব্যাঙ্ক পাসবুক
  • ভর্তির রসিদ

অনলাইন আবেদন পদ্ধতি

  • 1) যদি নতুন আবেদনকারী হয়ে থাকেন, তবে www.svmcm.wbhed.gov.in-এ যান এবং ‘ফ্রেশ অ্যাপ্লিকেশন’-এ ক্লিক করুন।
  • 2) নাম, ইমেল, যোগাযোগ নম্বর এবং জন্ম তারিখ প্রদান করে রেজিস্ট্রেশন করুন।
  • 3) রেজিস্ট্রেশন করার পরে, একটি অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং পাসওয়ার্ড পাবেন।
  • 4) এই বিবরণগুলি ব্যবহার করে লগ ইন করুন এবং একাডেমিক স্কোর সহ আবেদনপত্রটি পূরণ করুন৷
  • 5) প্রয়োজনীয় নথি এবং শংসাপত্রগুলি স্ক্যান করে আপলোড করুন। মনে রাখবেন ফটোকপি গ্রহণ করা হয় না।
  • 6) জমা দেওয়ার আগে কোনও ত্রুটি হয়েছে কিনা তা দেখে নেওয়ার জন্য ফর্ম পর্যালোচনা করুন।
  • 7) জমা দেওয়ার পরে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করুন।

আপনি টাকা পাবেন কিনা জানবেন কীভাবে?

বৃত্তির জন্য আবেদন করার পরে, শিক্ষার্থীদের আপডেটের জন্য ড্যাশবোর্ড চেক করতে হবে। অনুমোদিত হলে, বৃত্তির অর্থ সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই স্থানান্তর করা হবে। যদি তা না হয় তবে কেন তা হচ্ছে না, তা জানতে সরাসরি বৃত্তি অফিসে যোগাযোগ করা উচিত।

আবেদন রিনিউ করবেন কীভাবে?

আপনাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং আপনার গত পরীক্ষার মার্কস, আয়ের প্রমাণ, জাত বা অক্ষমতার শংসাপত্র (যদি প্রয়োজন হয়), আবাসিক প্রমাণ ও সাম্প্রতিক ছবির মতো নথি জমা দিতে হবে ওয়েবসাইটের রিনিউ ট্যাবে গিয়ে।